উশর উনার আহকাম

পবিত্র উশর সম্পর্কে সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া : সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যমীনে উৎপন্ন যাবতীয় ফসলেরই পবিত্র উশর অথবা পবিত্র নিছফু উশর দিতে হবে। চাই দীর্ঘস্থায়ী শস্য হোক, চাই ক্ষণস্থায়ী শস্য অর্থাৎ শাক-সবজি হোক। তিনি আরো বলেন, ফসল কম-বেশি যাই হোক না কেন পবিত্র উশর আদায় করতেই হবে।

পবিত্র উশর আদায়ের সময় : পবিত্র উশর আদায়ের নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। যতোবারই ফসল উৎপন্ন হবে ততোবারই ফসলের পবিত্র উশর দিতে হবে।

পবিত্র উশর প্রদানকারী : যে বা যারা ফসলের মালিক হবেন তিনি বা উনারাই উশর প্রদান করবেন।

পবিত্র উশর ব্যয়ের খাতসমূহ : যে খাতে বা স্থানে পবিত্র যাকাত ব্যয় করা যায়, সে খাত বা স্থানেই পবিত্র উশর ব্যয় করতে হবে।

পবিত্র উশর উনার নিছাব : সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে পবিত্র উশর উনার কোন নিছাব নেই। বিনা পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসল ও ফল ফলাদির দশ ভাগের এক ভাগ বা তার মূল্য দান করে দিতে হবে। আর পরিশ্রম করে ফসল বা ফল ফলাদি ফলানো হলে তখন বিশ ভাগের এক ভাগ বা তার মূল্য দান করে দিতে হবে। ধান, চাল, গম ব্যতীত ফল-ফলাদির ১০টির ১টি বা ২০টির একটি দিতে হবে। আর যদি ৫টি হয় তবে একটার অর্ধেক দিতে হবে।

পবিত্র উশর আদায়ের হুকুম : পবিত্র উশর আদায় করা পবিত্র যাকাত উনার মতই ফরয। কেউ যদি পবিত্র উশর আদায় না করে তাহলে সে ফরয অনাদায়ের গুনাহে গুনাহগার হবে।

কর ও খাজনা প্রদানকৃত যমীনের ফসলে পবিত্র উশর দেয়ার হুকুম : কর ও খাজনা প্রদানকৃত যমীনের ফসলেরও পবিত্র উশর আদায় করতে হবে। কেননা কর ও খাজনা দেয়া হয় সরকারি খাতে জমি জরিপ ও দেখাশুনা করার জন্য। অনেক জমিতে ফসল না হলেও খাজনা দিতে হয়। আবার পূর্ব যামানায় জমিতে খাজনাও দিতে হতো না। অতএব, কর ও খাজনা প্রদানকৃত যমীনের ফসলেরও পবিত্র উশর আদায় করতে হবে, যা ফরযের অন্তর্ভুক্ত।