যাকাত দিলে কি হয়

যাকাত দিলে কি হয় এই সংক্রান্ত মুল্যবান নছীহত

مَثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَـهُمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاءُ ۗ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ হলো সেই শস্য দানার মতো যা থেকে গজায় সাতটি শীষ, প্রত্যেকটি শীষে ১০০টি করে দানা (উৎপন্ন) হয়।
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য্যময়, প্রশস্ত, সর্বজ্ঞানী।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১) হিসাব ছাড়া বাড়িয় দিবেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিআল্লাহু তা’লা আনহু উনার সময় যাকাত গ্রহণ করার মত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

وَمَن قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ ۚ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللَّهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا
“যার উপরে রিযিকের সংর্কীণতা এসেছে, তার উচিত আল্লাহ পাক তাকে যা দিয়েছেন, তা থেকে সাধ্যমত ব্যয় করা।
আল্লাহ পাক যাকে যা দিয়েছেন, তদাপেক্ষা বেশী কাউকে দায়িত্ব দেননা। অতিশীঘ্রই মহান আল্লাহ পাক কষ্টের পর সুখ দিবেন।”
নামায ও ইবাদত-বন্দেগীতো কবুল হবে, হুজুরী ক্বলব পয়দা হবে।
অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে।
জান্নাতী হবেন।
সূবা হজ্জ্ব শরীফ উনার শেষ আয়াত শরীফ
فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ ۖ فَنِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ
অর্থ: তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কতইনা উত্তম অভিভাবক এবং সবচেয়ে বড় অভিভাবক ও উত্তম সাহায্যকারী। (সূরা হজ্ব শরীফ, আয়াত শরীফ ৭৮)
দোয়া ও দানের দ্বারা তাকদীর পরিবর্তন হয়।
ওয়াকেয়া: একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হায়াত শেষ। উনাকে বলা হলো আপনার শেষ ইচ্ছে কি? উনি বললেন, আমার আহলিয়ার হাতের তৈরি রুটি খাওয়া। কিন্তু তিনি তখনও বিয়ে করেন নি। এখন উনার সাথে কে মেয়ে বিয়ে দিবেন। উনার তো হায়াত শেষ। যাই হোক উনি যেহেতু সাহাবী ছিলেন অন্য ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজী হলেন। বিয়ে হলো। রুটি তৈরি করা হলো। উনি যখন রুটি খেতে বসছেন, তখন একজন ভিখারী/সাওয়ালকারী এলেন। ভিখারী/সাওয়ালকারী বললে যে- আমি তিন দিন অনাহারে আছি। আমাকে কিছু খেতে দিন। তখন ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার এত সাধের রুটিটি ভিখারীকে দিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! দেখা গেল রাত অতিবাহিত হয়ে দিন। কিন্তু তিনি বেঁচই রইলেন। তার পর দেখা গেলা উনার বিছানার নিচে একটি বড় অজাগর সাপ মরে পড়ে আছে তার মুখে সেই রুটি। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং এটা স্পষ্ট যে দানের দ্বারা তাকদীরও পরিবর্তন হয়। সুবহানাল্লাহ!
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ۗ وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: “(ইয়া রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদের মাল-সম্পদ থেকে গ্রহণ করুন, আপনি তাদেরকে পবিত্র করুন ও পরিশুদ্ধ করুন এবং তাদের জন্য দু’আ করুন। কেননা আপনার দু’আ মুবারক তাদের জন্যে প্রশান্তি ও কামিয়াবীর কারণ হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সব কিছু শোনেন এবং সব কিছু জানেন।”
(১) ত্বহারাত বা পবিত্রতা অর্জন হয় (২) তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধি হাছিল হয় (৩) সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া মুবারক পাওয়া যায় ও (৪) প্রশান্তি লাভ হয়-দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব অর্জন হয়।